স্থানীয়রা জানান, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ইউপি সদস্য রোকন উদ্দিন অবৈধভাবে ৩০ কেজি ওজনের ১২৮ বস্তা চাল মজুদ করেছেন। যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ির টিনের ঘর থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পালিয়ে যান, ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আদিলুজ্জামান ভূঁইয়া ও সদস্য রোকন উদ্দিন একাধিকবার সরকারি চাল উত্তোলন করে অবৈধভাবে মজুদ করেছেন। তবে চেয়ারম্যান আদিলুজ্জামান ভূঁইয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় তাদের চাল বিক্রি করেছে এবং একজন ব্যবসায়ী তা কিনেছেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :