ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
অত্যান্ত সু-বিশাল হাওড় অঞ্চলের ইটনা উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওড়ে বোরর সবুজ পাতায় উকি দিয়েছে হাওড়বাসী কৃষকের স্বপ্ন। হাওড় অঞ্চলের চারিদিকে সুভা পাচ্ছে সবুজের সমারাহ। যেদিকে তাকানো যায় সে দিকেই শুধু সবুজ আর সবুজ। বসন্তের রোধ বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনার হাওড় অঞ্চলে দৃষ্টিনন্দন বোরর মাঠ জুরে হাওড় বাসীর সকলের নজর খেড়ে নিয়েছে এবার। আশা করা যাচ্ছে বোরর ফলন গত বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে দিবে। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে বোর ধানের সবুজ পাতা। আর আনন্দে তুলছে হাওড় বাসী কৃষকের মন। কৃষকের মনে উকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা বোরর মাঠ দেখে বার বার ফিরে তাকায় কৃষক, যেন মনে খুশির শেষ নেই। আর কয়েকদিনের মধ্যে সোনালী ধানের শীষে জলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গুলা। এবার ইটনা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় ৯টি ইউনিয়নে বিগত পৌষ মাসে কৃষকের অর্জিত জমি লক্ষমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর। আমাদের এই প্রতিনিধি ইটনা উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ের সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ইটনা সদর গ্রামের দক্ষিন পাশে ইটনা মৌজার বন্দ শাপলা পূর্ব দিকে আরুরা মজলিশপুর মৌজার কলমার বিশাল হাওড়, গ্রামের উত্তর পাশে ইটনা মৌজার বাঘ মারা, শনিয়ার জান, আলালের বন্দ, বর্শিকুড়া মৌজা, জুড়াকাটা, আঙ্গানের হাওড়, গ্রামের পশ্চিম দিকে এলংজুরী, বড়হাতকবিলা ও বলদার হাওড় ইত্যাদি হাওড় গুলোতে বোর ধানের মাঠে সবুজে চেয়ে গেছে। এই মৌসুমে এক বার বৃষ্টিপাত হওয়ার পরে আর কোন প্রকার বৃষ্টি নেই। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কোন ক্ষতিকর পোকা-মাকড় ফসলের তেমন ক্ষতি করতে পারি নি। হাওড় এলাকার কৃষকদের সহিত কথা বলে জানাযায় এ বছর জমিতে হাইব্রিড হীরা, বিআর ২৮,২৯ হাইব্রিড ব্রাক সীড ও হাইব্রিড জনক রাজ, ইত্যাদি জাতীয় ধানের ছাড়া চাষাবাদের মাধ্যমে জমিতে রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে কৃষক হাওড়ের জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভালো ভাবে জমি তৈরি করাতে তাদের খরচ একটু বেশি হয়েছে। এবার ফসল উৎপাদনের পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফসল রপ্তানি করার ধারণা করা হচ্ছে। ইটনা সদর উদিয়ারপাড় গ্রামের কৃষক মালেক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে বলে আমি দশ একর জমিতে উন্নত জাতের ধান চাষ করেছি, ফসল খুব ভালো হয়েছে। চিপাহাটির কৃষক ছাত্তারকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি পাঁচ একর জমিতে হাইব্রিড জাতীয় ধানের ছাড়া রোপন করেছি। ফসল দেখে আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। ইটনা দিঘীরপাড় গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া বলেন আমি ও পাঁচ একর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের লোকদের পরামর্শে আমরা এবার সরকারি ভাবে কৃষি বিভাগের লক্ষমাত্রার চেয়ে হাওড়ের জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করে মনের আনন্দে ঘরে তুলবো হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ধান।
আপনার মতামত লিখুন :