স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার সামনে অন্তত ১০টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে, যা কেউ ভাড়া দিচ্ছেন, আবার কেউ বিক্রি করে দিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ কার্যক্রম চললেও কেউ বাধা দেয়নি। সম্প্রতি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত উরদিঘী দাখিল মাদরাসায় বর্তমানে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদরাসার প্রধান ফটকের দুই পাশে সারি সারি দোকান গড়ে উঠেছে। এতে মাদরাসাটি আড়ালে পড়ে গেছে, ফলে বাইরে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে চেনা যায় না। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত কোটি টাকার জমি বেদখল হয়ে গেছে।
মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহতাব উদ্দিন জানান, তিনি সদ্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং দোকানগুলো আগে থেকেই ছিল। তবে এসব থেকে মাদরাসা কোনো আয় পায় না। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এছাড়া, জমিদাতাদের সঙ্গে মাদরাসার আরও ৮৮ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চলছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত জাপা নেতা সাইদুর রহমান বলেন, “আমরা মাদরাসার জন্য জমি দান করেছি। দোকানগুলো বহু বছর ধরে আছে। অনেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে দোকান দিয়েছে, আবার কেউ কেউ দলিলপত্র ছাড়া কিনেও নিয়েছে। তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দখলের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :