পাকুন্দিয়া,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের জেলায় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ০৬ নং পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের বতমান মেম্বার আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিকালে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নেয় শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গ্রামবাসী প্রতিবাদ সমাবেশে করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম মেম্বারের বড় ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,বলেন আমার ভাই সে ০৬ নং পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ,৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার গত ২৩/০৩/২০২৫ ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায়একটি মিথ্যা মামলা হয় যার নং- ২৩ রুজু হয়।
প্রকৃত পক্ষে উক্ত মামলার ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত নই। বিগত দিনে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ এর চাউল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম হয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনুমানিক ০৮ টন চাউল চুরি হয়, এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান( সুরুজ) তার উপর ক্ষীপ্ত হইয়া যায় এবং বিভিন্নভাবে তাহাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতে থাকে।
আমার ভাইর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী আ.ন.ম মির্জা হায়দার একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এর প্রত্যক্ষ মদতে এলাকায় মরনঘাতী নেশাদ্রব্য ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত সামগ্রী বিক্রয় করিয়া এলাকার যুব সমাজকে ধবংসের দিকে ধাবিত করিতেছে। তাছাড়াও মামলার বাদী পুলেরঘাট আঞ্চলিক ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ায় উক্ত প্রভাব খাটাইয়া এলাকায় ত্রাশের রাজত্য কায়েম করিতেছে। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলার বাদী এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর সহিত বিরোধ বেড়ে যায়।
মামলার ০২ নং আসামী সিহাবের সহিত মামলার বাদীর ইয়াবা বিক্রয়ের টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়া বিরোধের সৃষ্টি হইলে ঘটনার তারিখ ও সময়ে সিহাব অতর্কিতভাবে মামলার বাদীর উপর আক্রমন করিয়া মারপিট করে। এতে মামলার বাদী গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমার ভাই কে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সুরুজ বাদীকে ফুসলাইয়া আমিনুল ইসলাম মেম্বারের কে আসামী করিয়া উক্ত মামলা দায়ের করে। প্রকৃত পক্ষে উক্ত মামলার ঘটনার বিষয়ে আমরা মোটেও অবগত নই এবং উক্ত মামলার অপর আসামীদের সহিত তাহার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল ইসলাম হাদী, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সীমা আক্তার শিমু , ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য আছিয়া আক্তার , প্রত্যক্ষ সাক্ষী রুবেল , এলাকার পুরুষ মহিলা সহ গ্রামবাসীর উপস্থিত ছিলেন
উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানান।
এ ব্যাপারে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান( সুরুজ) বলেন আমি এই মামলা বিষয় কোন কিছু জানি না।