এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুরমা আক্তারকে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত।
আজ (বুধবার) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুরমা আক্তার বলেন, এই সেলাই মেশিন এবং ভাতা কার্ডটি আমার অসহায় পরিবারকে সহায়তা করবে। আমি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত বলেন, মা ও শিশু সহায়তা কার্ডের আওতায় প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে পান সুরমা আক্তার। ৩ বছর পর্যন্ত তিনি এ ভাতার সুবিধা পাবেন। বর্তমান তার অসহায়ত্ব নিরুপণের জন্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতাধীন এনে একটি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও ওই নারী উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোছাঃ সুরমা আক্তার নামের অসহায় এক নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিয়ের পর পরই অন্তঃসত্ত্বা হন মোছাঃ সুরমা আক্তার। ৪ মাসের মধ্যে স্বামী মারা যান বজ্রপাতে। স্বামীকে হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেন সুরমা। অসচ্ছল দু’টি পরিবারের মধ্যে নিজে অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর অল্পসময়ে তাকে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এনে ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সুরমার পরিবারে। সুরমা আক্তার উপজেলার হোসেন্দী পশ্চিম আতকাপাড়া গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের মেয়ে। একই গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। জানা গেছে, সুরমা আক্তার একজন অসহায় নারী। বিবাহিত জীবনের মাত্র ৪ মাস সংসার করার পর ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীকে হারান। বর্তমানে তার একটি শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৬ই জুন বজ্রপাতে তার স্বামী হেদায়েত উল্লাহ মারা যান।
এরপর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে তার জীবনে। বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্তের নজরে আসে। অসহায় নারীর বিষয়টি তিনি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে অবগত করেন। ওই নারীর অসহায়ত্বের বিষয়টি শুনে দ্রুত তাকে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করতে বলেন।
সম্পাদক প্রকাশকঃ এম এ জলিল
ম্যানেজিং এডিটরঃ আশরাফুল ইসলাম তুষার
মফস্বল এডিটরঃ ইমরান হোসেন
© Pratidinersomoy