বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তিনি কার্যালয় ত্যাগ করেন। এর আগে, বিকেল ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে উপজেলা শহীদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীরা ইউএনও ফাতেমা খাতুনকে “ভুয়া”, “দুর্নীতিবাজ” এবং “আওয়ামী লীগের দোসর” আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তাকে কার্যালয় ছাড়তে দুই ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনের সহায়তায় তিনি কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপরই কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইউএনও ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে পার্বতীপুর উপজেলায় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করেছেন। নানান অনিয়মের কারণে পরপর দুইবার বদলির আদেশ হলেও তা অজ্ঞাত কারণে স্থগিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আপাতত আমি বাংলো থেকেই অফিস পরিচালনা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও যেকোনো সময় অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে।”
বর্তমানে ইউএনওর কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :