রাস্তায় গাছের গুঁড়ির স্তুপ,দুর্ঘটনায় মাদ্রাসার প্রভাষকসহ আহত ৬ জন


Ashraful Islam প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫, ২:৪৭ অপরাহ্ন /
রাস্তায় গাছের গুঁড়ির স্তুপ,দুর্ঘটনায় মাদ্রাসার প্রভাষকসহ আহত ৬ জন

বাজিতপুর,(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:-

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সরারচর আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে গাছের গুঁড়ির স্তুপ করে রাখায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। একই সঙ্গে এই ভাবে গাছের গুড়ির স্তুপ করে রাখায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা এবং প্রান হানির ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বাজিতপুরে সরারচরে মঙ্গলবাড়িয়া বাজার ও ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন অন্তত ৭টি স্থানে বিভিন্ন গ্রাম থেকে গাছ কেটে এনে সড়কের উপরে ও দুই পাশের্^ স্তুপ করে রাখা হয়। এর পর সড়কের উপর ট্রাক রেখেই গাছের গুঁড়ি ট্রাকে তুলা হয়। ট্রাক ভর্তি গাছ এলাকার বিভিন্ন স’মিলে নিয়ে যাওয়া হয়। সরারচরের, জসিম উদ্দিন, টেনাই, মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন কাঠের ব্যবসা করেন। সড়কে গাছের স্তুপ রাখার কারণে গত রবিবার বেলা ১০ টায় মাদ্রাসার প্রভাষক আফরোজা আক্তারসহ ৬ জন মারাত্মক ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার পর মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষক মিলে স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে একটি গণ মিছিল বের করে এবং কিছুক্ষণ সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি আটকিয়ে রাখে। স্থানীয় সাংবাদিকরা এই সংবাদ বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনামকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দ্রæততার সাথে বাজিতপুর থানা কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন সহ উপজেলা কর্মকতা বৃন্দদের ঘটনার স্থলে পাঠান এবং তিনি জানান, লাইসেন্স বিহীন স’মিল সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একইসাথে রাস্তার উপরে থাকা সকল গাছের গুঁড়ি বা অংশবিশেষ বিনা ব্যর্থতায় সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কাঠের ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে জানান, সড়কের দুই পাশ ছাড়া গাছের গুঁড়ি রাখার কোন জায়গা নেই। ট্রাক সব স্থানে নেওয়া সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে গাছ রেখেই ট্রাকে তুলা হয়। সড়কের উপর গাছ ট্রাকে তুলা ও সড়কের দুই পাশেই গাছ রাখার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শফি উদ্দিন। তিনি আরও জানান, গাছ সড়ানোর জন্য তিন তিন বার প্রদক্ষেপ নেওয়ার পরও কোন কার্যকরি সুফল পাওয়া যায় নি। এসব বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জোর দাবি জানাই। স্থানীয় একাধিক প্রথচারি জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখঃ জনক। গাছের ব্যবসায়ীরা কাউকেই তুয়াক্ষা করে না। যেখানে সেখানে গাছ ফেলে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য যে, বাজিতপুর ২৯টি করাত কলের মধ্যে ২৪ টির লাইন্সেস নেই।