লোহাগড়ায় ইউএনও-পিআইও’র নাম ভাঙ্গিয়ে খাল খনন করে মাটি বিক্রি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান লাবু


Ashraful Islam প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন /
লোহাগড়ায় ইউএনও-পিআইও’র নাম ভাঙ্গিয়ে খাল খনন করে মাটি বিক্রি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান লাবু

সরদার রইচ উদ্দিন টিপু,জেলা প্রতিনিধি নড়াইল:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান তিনটি নাশকতা মামলার আসামী মো.লাবু মিয়া অনুমোদনবিহীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইও,র নাম ভাঙ্গিয়ে খাল খনন করে মাটি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিন ঘুরে জানা গেছে, শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল ভুলবাড়ে এলাকায় সরকারী খাল খনন করে সেই খালের মাটি বিক্রি করছেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্তত ১০জন প্রভাবশালী। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, খালের পাশে আমাদের বসত বাড়ি রয়েছে। এত গভীর করে খাল খনন করার কারনে যে কোন সময় আমাদের বসত বাড়ি ভেঙ্গে খালের মাঝে চলে যাবে। তাছাড়াও আমাদের কয়েকটি বাড়িঘর কোনো নোটিশ ছাড়ায় ভেঙ্গে দিয়েছে। আবার ওই মাটি স্থানীয় কাবুলের ইটের ভাটা ও এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে ভরাটের কাজে বিক্রি করছে। আমরা বাধা প্রদান করলে চেয়ারম্যান লাবু মিয়ার সহোযোগি শামীম ফকির, আনোয়ার শিকদার সহ কয়েকজন বলেন এই খাল সরকার থেকে অনুমোদন দিয়েছে তোমরা এই সরকারী কাজে বাধা দিতে পারবানা।
শামীম ফকির বলেন,
চেয়ারম্যান খালটি অনুমোদন করে নিয়ে এসেছেন। সে কারনে আমরা দায়িত্ব নিয়ে খাল খনন করছি। এসময় শামীম ফকিরকে মাটি বিক্রয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি নয় ছয় করে বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে চেয়ারম্যান লাবু মিয়ার সাথে কথা বলতে বলেন।
চেয়ারম্যান লাবু মিয়া বলেন, ভুলবাড়ে ছয়শ মিটার খাল খননের অনুমোদন হয়েছে যার কারনে আমি খাল খনন করছি।মাটি বিক্রির কথা বললে তিনি অকপটে মাটি বিক্রির সত্যতা শিকার করেন। টিআর প্রকল্পে ২লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজ।

লোহাগড়া উপজেলার ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের সহকারী অভিজিৎ কুমার মন্ডল জানান, ওই নামে কোন প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। আমরা জানিনা। উপজেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব)
মোসা. মেহেরুন্নেসা কে ফোনে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, চেয়ারম্যান আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কিভাবে খাল খনন ও মাটি বিক্রি করছে তা আমার জানা নাই। আমি এ ব্যাপারে আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।