শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান মিয়া ভবানীপুরের সুলাইমানপুর মহল্লার বাসিন্দা ও শ্রীনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।
সংঘর্ষের বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর ও আশপাশের গ্রামগুলোতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এই উত্তেজনা ভবানীপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভবানীপুর চকবাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৩০০ জন মানুষ সংঘর্ষে জড়ায়।
আহত ও নিহত
সংঘর্ষে ময়দর মুন্সীবাড়ির পক্ষের সুলাইমানপুরের মিজান মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন দুধু মিয়া (৩২), অপু মিয়া (২৪), পাপ্পু (২২), আক্তার মিয়া (৩০), আকবর, সালাম, সোহাগ, বাসার ও বাবুল। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
নিহতের ফুফাতো ভাই পারভেজ জানান, আগের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে মিজান ও বাদশা মেম্বারের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মীমাংসায় আনতে সালিশ বসানো হলেও তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শ্রীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, “ঘটনার এমন পরিণতি হবে জানলে সালিশ করতাম না। মৌটুপির বিবাদ এখন আমাদের গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।”
প্রশাসনের অবস্থান
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার বলেন, “মিজান মিয়াকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। দুপুর ১টার দিকে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
সহকারী পুলিশ সুপার (ভৈরব সার্কেল) নাজমুস সাকিব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :